বাসাইলের বাকা পথে ব.ম শামীম
যাই হোক বাসাইলের বাকাঁ রাস্তা দিয়ে এগিয়ে চললাম আমরা গুয়াখালী ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে । সেখানে দুপুরের খাবার খেয়ে ফেরার পথে বাসাইলের ভোট কেন্দ্রটির ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখে তিথি ভোট কেন্দের ভীতরে ভোট দিতে দাড়িয়ে আছে। ভোট কেন্দ্রের দরজায় দড়াতেই রহস্যময়ীর বাকাঁ চোখের দৃষ্টি আমার উপরে। এইতো সেই দুটি মায়াবী চোখ আমার কিশোর মনের ভালবাসার প্রতিচ্ছবি চোখ দুটির মধ্যে ফুটে উঠলো। এ চোখ দুটির পানে চেয়ে থেকে আমার জীবনের কত স্বপ্ন অংকিত আছে তার দহন গুলো আমায় ক্ষত করে তুললো রহস্যময়ীর বাকাঁ দৃষ্টির মধ্যে বেশ চঞ্চলতা লক্ষ্য করা গেলো। বহুদিন হয় এ দৃষ্টির মধ্যে আমার মনের রঙিন স্বপ্নগুলো রমেশ সাজেনা । আজ আবার কেন যেন ইচ্ছা হচ্ছিল ওর কাছে গিয়ে বড় বড় চোখ দুটির পানে চেয়ে থ াকি দির্ঘক্ষন। কিন্তু কোথায় যেন এক অদৃশ্য বাধার দেয়াল আমায় আবদ্ধ করে রাখলো। র্ রহস্যময়ীর বাকাঁ দৃষ্টিটি কতযে রহস্যে ঘেরা তা আমি ওর দৃষ্টির মধ্যে খুজেঁ বেরালাম। আজ কোথায় যেন ঐই দৃষ্টির মাঝে কোন এক অপূর্নতা আমায় গ্রাস করতে লাগলো। মনে হলোনা এ দৃষ্টি যেন রুক্ষè ও রুগ্ন হয়ে গেছে। আমার স্বপ্নের চোখের মধ্যে কোন আমবস্যার কালো মেঘের ঘনঘটার রুদ্ধ কলোরবে গুঞ্জন ছড়াচ্ছে। মনো হলো নজরুলের কবিতার কিছু চয়ন দৃষ্টিতে আর হয়না সৃষ্টি আগের মতো গোলাপ ফুল কথায় কথায় ফুল ফুটাতাম এখন আর সে হয়না ভুল।মাথার উপরে একটা লম্বা কাপড় টেনে দেহটিকে আবদ্ধ করে রেখেছে ও চুলগুলো মাথার মধ্যে গোল করে স্তুপ আকারে বাধা রয়েছে। বহুদিন হয় এ চুলগুলোর সুবাস নেই না আমি। ইচ্ছা হয়েছিলো ্ওর চুলগুলোর মধ্যে নিজেকে আবার লুকাবার। কিন্তু কি সে যেন এক আদৃশ্য দেয়ালে আমার মানষকন্যা নিজেকে আবদ্ধ করেছে যে জাল ভেদ হওয়ার নয়। কোন এক মন্ত্র পড়ে নিজেকে সে আমার জীবনের শত স্বপ্নের শেষ টেনেছে ইচ্ছা হয়েছিলো না আমি চিৎকার করে বলি না আমি কোন বেরাজালের মন্ত্র মানিনা আমি কোন বন্ধন মানিনা। কিন্তু আমার চারপাশে তখন অগনিত মুখ স্বরন করে দিল আমায় সভ্যতার যে চাদরে আবদ্ধ আমাদের জীবন যেখানে মনের ইচ্ছাটা সব সময় বাস্তবে প্রতিফলন ঘটানো যায়না। তবু আমি নির্বাকভাবে তাকিয়ে আছি রহস্যমীয় সর্ব দেহটিকে আবার দেখি নিচ্ছি। আজকের এই তিথির মাঝে আমার শত জনমের চেনা সেই তিথির মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কিনা । কই না কোথায় কোন পরিবর্তন নেই এইতো সেই এইতো আমার ভালবাসা যা এক সময় হাত বাড়াতেই আনায়াসে যাকে হৃদয়ের মাঝে অনুভবে আনায়াসে পেতাম। আর আজ চোখের দৃষ্টির মাঝে একটি তপ্তদহন তার সর্ব শরীর যে রুপ ছিল আমার হৃদয়ের স্পন্দন আজ আমার হৃদয়ের মধ্যে একটি তপ্তদহনের বেরী পড়িয়ে দিলো- মনে হলো- প্রেম ছিলো একদা
রাত জেগে কথার অঞ্জলী ছ্ড়াতাম আমরা,
পড়কিয়ায় তখনো বেশ মানাতো তোমায়
কত যে রাত টেনেছো তোমার বুকে,
নিকারীর কোমল হাত
স্পর্শের ঘ্রান আজও আমায় তাড়া করে ফেরে।
মনে কি পড়েনা তিথি
আজ সেই স্মৃতি
বদলিয়েছো অসংখ্য নাগর
বদলাওনি তোমার রুপের ঝলক।
ইচ্ছে হয় আজো তোমারে দখন নেওয়ার আশায়,
লাঠিয়াল সাজি।
যে মানুষের মনে প্রেম আসেনি কোনদিন
তাকায়নি কারো চোখে
তাকেও তুমি টানতে পারো স্বাচ্ছন্দে বুকে।
মেলে ধরে ঐই চিকচিকে দাতের হাসি
পড়িয়েছো অসংখ্য নাগরের গলায় ফাঁিস।
আমার মতো বোকার হদ্দ মানুষগুলো,
কেন যে তোমারে পাবার লোভে
নিজেকে বার বার দরুন প্রতিযোগী করে তুলে।
ইচ্ছে হলো ওকে আমি পৃথিবীর সব অপশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নিয়ে যাই । যে খানে কোন রাবনের হি¯্র দৃষ্টি নাই, কোন মন্ত্রের বেরাজাল নাই। আবার মনে হলো না যে হিস্রতার রুপ আমি আমার ভালবাসার মধ্যে দেখেছি যে রুক্ষè ভালবাসার আনলে জ্বলে গেছে আমি সহ আমার পরিবার এইতো এই সে মিথ্যা দিয়ে ঘেরা ছলনার নগ্ন পাশের হিংস হৃদয় দিয়ে ঘেরা মায়াবী । এরা মানুষের হৃদয়ের বিজলীর রেখার মতো ষ্পন্দন ছড়াতে পাড়ে আবার তার তপ্ত ঝাঝালো দহনে হ্দৃয় পোড়াতে পারে এরা মানুষের জীবন কখনো চীর স্থায়ী আলো জ্বালতে পারেনা। ওর হেয়ালী হৃদয় হেয়ালী প্রেম আমার জীবনের সকল ষ্পন্দনের মধ্যে একটি বৈরী পরিয়ে দিয়েছে। তখনো ওর দৃষ্টি একবার আমার মুখের পানে আরেকবার চারদিকে নিবন্ধ হচ্ছে। এ দৃষ্টির মাঝে কৌতুহল আছে, কোথায় যেন একটু অপূর্নতায় বহিপ্রকাশও আছে। হঠাৎ আমার দৃষ্টিটি একধ্যানে ওর নাকের ওপরে পড়তেই দেখি ও এক অভিনব নাকফুল পড়েছে । নাকফুল টি দুইটি রিং দিয়ে আবদ্ধ করে রেখেছে ওর নাকটিকে। এতে ওর মুখের সৌন্দর্য কতটুকু বৃদ্ধি করেছে জানিনা, তা না করলেও হয়তোবা আধুনিক সভ্যতার সুসভ্য নাগরিক হিসাবে পরিবর্তনের ধারাবাহিকতার একজন কান্ডারী হিসাবে নিজেকে কমপক্ষে তুলে ধরতে পড়েছে এতে সন্দেহ নেই। এটা কি সেই হিরা দিয়ে গড়া নাকফুলটি না আন্য কোন মহমূল্যবান পদার্থের যার মূল্য ওদের কাছে মানুষের জীবনের চেয়ে প্রেম ভালবাসার চেয়ে অনেক বেশি। আমি এর আগে শুনিছিলাম ওর আপ্তিয়র কাছে তিথির পিতা গর্ব করে বলেছিলো তিথির বর ওকে হিরার নাগফুল দেয়েছে । সেই গর্বের বস্তুটিকে আমি কৌতুহল নিয়ে দেখতে লাগলাম। মনে হলো পদ্মার বুকে যেমন রাম বাধ তৈরী করে রাবনের সৈন্য কুটিরে হামলা করেছিলো । দুরান্ত পদ্মা পারেনি সেই বাধ ভাঙ্গতে। রাবনের ভাষায় পদ্মা সেদিন বাঁধকে বুকে ধারন করে তার গৌরবকে স্মান করে দিয়ে ভিখারী সেঁেজছিলো। তেমনি তিথি আমার বুক ভরা প্রেম ভালবাসার দুরান্ত ¯্রােতকে পায়ে দলে নাকের মধ্যে এক শক্ত রিং দিয়ে বাধ তৈরী করেছে যে বাধ ভাঙ্গার ক্ষমত্বা আমার প্রেম ভালবাসার নেই।
যে মানুষের মনে প্রেম আসেনি কোনদিন
তাকায়নি কারো চোখে
তাকেও তুমি টানতে পারো স্বাচ্ছন্দে বুকে।
মেলে ধরে ঐই চিকচিকে দাতের হাসি
পড়িয়েছো অসংখ্য নাগরের গলায় ফাঁিস।
আমার মতো বোকার হদ্দ মানুষগুলো,
কেন যে তোমারে পাবার লোভে
নিজেকে বার বার দরুন প্রতিযোগী করে তুলে।
ইচ্ছে হলো ওকে আমি পৃথিবীর সব অপশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নিয়ে যাই । যে খানে কোন রাবনের হি¯্র দৃষ্টি নাই, কোন মন্ত্রের বেরাজাল নাই। আবার মনে হলো না যে হিস্রতার রুপ আমি আমার ভালবাসার মধ্যে দেখেছি যে রুক্ষè ভালবাসার আনলে জ্বলে গেছে আমি সহ আমার পরিবার এইতো এই সে মিথ্যা দিয়ে ঘেরা ছলনার নগ্ন পাশের হিংস হৃদয় দিয়ে ঘেরা মায়াবী । এরা মানুষের হৃদয়ের বিজলীর রেখার মতো ষ্পন্দন ছড়াতে পাড়ে আবার তার তপ্ত ঝাঝালো দহনে হ্দৃয় পোড়াতে পারে এরা মানুষের জীবন কখনো চীর স্থায়ী আলো জ্বালতে পারেনা। ওর হেয়ালী হৃদয় হেয়ালী প্রেম আমার জীবনের সকল ষ্পন্দনের মধ্যে একটি বৈরী পরিয়ে দিয়েছে। তখনো ওর দৃষ্টি একবার আমার মুখের পানে আরেকবার চারদিকে নিবন্ধ হচ্ছে। এ দৃষ্টির মাঝে কৌতুহল আছে, কোথায় যেন একটু অপূর্নতায় বহিপ্রকাশও আছে। হঠাৎ আমার দৃষ্টিটি একধ্যানে ওর নাকের ওপরে পড়তেই দেখি ও এক অভিনব নাকফুল পড়েছে । নাকফুল টি দুইটি রিং দিয়ে আবদ্ধ করে রেখেছে ওর নাকটিকে। এতে ওর মুখের সৌন্দর্য কতটুকু বৃদ্ধি করেছে জানিনা, তা না করলেও হয়তোবা আধুনিক সভ্যতার সুসভ্য নাগরিক হিসাবে পরিবর্তনের ধারাবাহিকতার একজন কান্ডারী হিসাবে নিজেকে কমপক্ষে তুলে ধরতে পড়েছে এতে সন্দেহ নেই। এটা কি সেই হিরা দিয়ে গড়া নাকফুলটি না আন্য কোন মহমূল্যবান পদার্থের যার মূল্য ওদের কাছে মানুষের জীবনের চেয়ে প্রেম ভালবাসার চেয়ে অনেক বেশি। আমি এর আগে শুনিছিলাম ওর আপ্তিয়র কাছে তিথির পিতা গর্ব করে বলেছিলো তিথির বর ওকে হিরার নাগফুল দেয়েছে । সেই গর্বের বস্তুটিকে আমি কৌতুহল নিয়ে দেখতে লাগলাম। মনে হলো পদ্মার বুকে যেমন রাম বাধ তৈরী করে রাবনের সৈন্য কুটিরে হামলা করেছিলো । দুরান্ত পদ্মা পারেনি সেই বাধ ভাঙ্গতে। রাবনের ভাষায় পদ্মা সেদিন বাঁধকে বুকে ধারন করে তার গৌরবকে স্মান করে দিয়ে ভিখারী সেঁেজছিলো। তেমনি তিথি আমার বুক ভরা প্রেম ভালবাসার দুরান্ত ¯্রােতকে পায়ে দলে নাকের মধ্যে এক শক্ত রিং দিয়ে বাধ তৈরী করেছে যে বাধ ভাঙ্গার ক্ষমত্বা আমার প্রেম ভালবাসার নেই।
মায়াবীর প্রথম দেখার যে প্রতিচ্ছবি আমার হৃদয়ে অঙ্কিত আছে তা নজরুলের কবিতার চয়নের সাথে যেন একত্বা হয়ে রয়েছে নজরুলের ভাষায় বলতে হয়- . তখনো সরল সুখী আমি -ফোটেনি যৌবন মম
উন্মুখ বেদনা-মুখী আসি আমি ঊষা-সম
আধ-ঘুমে আধ-জেগে তখনো কৈশোর,
জীবনের ফোটো ফোটো রাঙা নিশি-ভোর।
তখন আমার বয়স কত ঠিক জানা নেই আমার । তিথিকে কবে প্রথম দেখেছি আমি তা যেন মনে নেই আমার তবে যতটুকু মনে পড়ে আমি তখন অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র। মায়াবী তখন শিশু না কিশোরী এ মূহুর্তে তাও ভাবতে পারছি না আমি।
সেই সময়ে বিধাতা যেন এক অভূতপুর্ব সৌন্দর্যের অবয়অয়ন দিয়ে গড়েছিলো তারে । তার রুপ একবার যে চোখ দেখেছে। তার কি আর সাধ্য ছিলো আরেকটি বার না দেখার। ছোট বেলার সে ছোট কিশোর বয়সে সে সময় ভালোবাসা কি আমি জানতাম না । সুধু এই মেয়েটির সৌন্দর্যের অবয়লীলা দেখার জন্য আমি বার বার আমার বাড়ীর পাশেই তিথির নানা বাড়ি ছুটে যেতাম।
তার মুখের অবয়অয়ন এর পাশাপাশি সবচেয়ে যে আকর্ষনীয় বস্তুটা সবাইকে মুগ্ধ করতো তা হলো ওর মেঘকালো হাটু পর্যন্ত লম্বা চুল। ও মনে হয় ছোট বেলা হতেই খুব সঙ্গ প্রিয় ছিলো। আরো অন্যান্য কিছু মেয়ের সাথে সংঘবদ্ধ ভাবে ওর নানা বাড়ির বিস্তির্ন বাড়ি জুড়ে ছিলো ওর আনাগুনা ।
আমি ওকে দেখার চেয়ে ওর চুলগুলো দেখার প্রত্যাশায় দির্ঘন ওর নানা বাড়ির সামনে দাড়িয়ে থাকতাম। যখনি ওর দেখা মিলতো চোখ বুজে পার্থনা করতাম এর চুলগুলো যেন খোলা থাকে। এলোকেশ গুলো বাতাসে দুলতো আমার চোখদুটো আকাশে উড়ে যাওয়া কালো মেঘের মতো ওর কালো চুলের পিছু পিছু ভেষে বেড়াতো । সুমিষ্ট ঠোট দুটো জুড়ে মুচকি হাসির প্রবাহ বইতো। মাঝে মাঝে তার সেই হাসির মধ্যে রহস্যের ঝলকও দেখেছি। রহস্যে ঘেরা হৃদয়খানীর মতো তার সর্ব অঙ্গ জুড়ে রহস্য ঘেরা। রহস্যময়ীর সাথে প্রথম কথা বলার যে স্মৃতিটা আমার হৃদয়ের মধ্যে অঙ্কিত আছে যে স্মৃতির পট হতে বিস্মৃত হৃদয় গহিনে আজো বেদনার পটভূমি গেড়ে বসে আছে হৃদয়ের পটে সেই স্মৃতি যেন একটা স্পষ্ট আসন গেঢ়ে বসেছে যা শত সহস্র বার চেয়েও একটি নের জন্য হৃদয় হতে বেড় করতে পারিনি আমি। মনে পরে সেই কিশোর বয়সের দুরন্ত বালকের প্রেমের স্মৃতির কথা । সেইদিন সারাটা দিন আকশ জুড়ে মেঘদের অবাধ বিচরন ছিলো । মাঝে মাঝে কিছু বৃষ্টি হয়েছে । ঝড়ো বাতাসের প্রবাহ বইছে সেই সকাল থেকে। তাই সারাদিন ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বাহিরে যাওটা ছিলো বেশ কষ্টকর । পরন্ত বিকেলে সূর্য রাশ্মি মেঘের গন্ডির ভিতর হতে মুচকি হাসি ছড়িয়ে পশ্চিম দিগন্তে আসন গেড়েছে। সারাদিনের অলস প্রহরের আলসতা ভেদ করে চঞ্চল মন যেন উদিপ্ত সূর্য কিরনের মতো জেগে উঠলো। ঘর হতে বাহির হতেই দেখলাম সারাদিনের বৃষ্টিতে বাড়ির সামনের রাস্তাটা বেশ পিচ্ছিল রুপ ধারন করছে। হাটতে খুব অসুবিধা হচ্ছিল তার পর ও হেটে বেড়াচ্ছি বাড়ীর পাশের অথৈই দিঘিটির প্রান্ত জুড়ে । দিঘির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তার উপর দিয়ে বিদুৎ এর খুটির সঙ্গে ঝুলানো তার এর উপর দুটো চিল বসে আছে। কখনো পালক মেলে উদ্যাম দিঘির জলের উপর দিয়ে ডানা প্রশারিত করে হেলিওটোপের মতো উড়ে বেড়াচ্ছে। এরি মাঝে আরেকটি চিল কোথায় হতে যেন সাদা আকশের বুকে অসিম শূনত্যা হতে শূন্যতায় কি যেন খুঁেজ বেরাচ্ছে । আমি এক দৃষ্টে তাকাতেই কিশের যেন এক অপূর্নতা আমায় গ্রাস করলো । মনে হলো চিলটি যেন কিশের অপূর্নতা নিয়ে দুর আকাশে কিছু একটা খুজেঁ বেরাচ্ছে। চিলটির ওরে যাওয়া দেখেই মনে হলো জীবননানন্দ দাশের সেই অমর কবিতাটি
হায় চিল সোনালী ডানার চিল এই ভিজে মেঘের দুপুরে
তুমি আর উড়ে উড়ে কেদো নাকো ধান সিড়িটির পাশে।
পৃথিবীর রাঙা রাজকন্যাদের মতো সেজে রুপ নিয়ে চলে গেছে দুরে
তার আবার কেন ডেকে আনো হৃদয় খুড়ে ভালবেসে কাছে।
হঠৎ ভাবনার তল হতে দৃস্টি ফিরিয়ে তাকাতেই দেখি আকাশের পরে একটি চিলও নেই সুধু অসিম শূন্যতা পুড়ো আকাশ জুড়ে। এলোমেলে ভাবনার অতল তল হতে নিজেকে টেনে তুলে অজানা গন্তব্যের দিকে আবার হাটতে শুরু করলাম রাস্তার সামনেই ছোট একটি পুকুরের মুখ । তার উপরে পাতা হয়েছে ছোট একটি সাঁেকা তার মধ্যে উঠে তাকাতেই একটি সুমিষ্ট হাসি আর সুমিষ্ট কন্ঠ স্বর কেমন আছেন। শব্দটি যেন আমার জীবনের সব চেয়ে বড় এক পাওয়া। তার দিকে অপলক তাকাতেই মনে হলো আমার বাক শক্তি যেন অবরুদ্ধ হয়ে এসেছিলো সেই কেমন আছেন শব্দটির কোন উত্তর আমি সেদিন দিতে পারিনি। আজো কেমন আছি আমি তার উত্তর খুজি সেদিনের কেমন আছেন শব্দগুলোর ভিতর। পেছনেই রহস্যময়ীর মা দাড়িয়ে তাই একমুষ্টি হাসি ছড়িয়ে চলে গেলো ও । আমি পিছনে এক ধ্যানে তাকিয়ে ্ওর চুলগুলো দেখার প্রত্যাশায় । কিন্তু বৃথা দৃষ্টি নিবেন্ধন সেই সময় ্ওর চুলগুলো বাধা ছিলো‘ দেখার প্রত্যাশা পুরন হলোনা। আমি তবুও একদৃষ্টে তাকিয়ে ওর পায়ের নুপুরের রুমঝুম শব্দের শব্দ শুনতে লাগলাম । মনে হলো আজ সারাটা দিন এই শব্দটি যেন আমি বৃষ্টির শব্দের মধ্যে শুনেছি। অনেক দুর এগিয়ে গিয়ে রহস্যময়ী আবার পিছন দিকে দৃষ্টি সেই দৃষ্টির দিকে তাকিয়ে স্থির হয়ে দাড়িয়ে থাকা আমার কাছে এক দূসহ্যনীয় বোঁজা মনে হচ্ছিল। এক দৃষ্টি তাকাতেই মনে হলো আজ সারাটাদিন মেঘের শব্দের মধ্যে যেন রহস্যময়ীর আগমনের শব্দ শুনেছি আমি। সারাদিন রুমঝুম বৃষ্টির শব্দের মতোই বহুদুর হতে এসেছে আগমনি । আমার জীবনে কিশের যেন নতুন আগমনের বার্তা বইতে শুরু করলো। আমার মাথার উপর বিশাল বাশঁ বাগন হঠাৎ বাতাসে পুরো বাগানটি কেঁেপ উঠলো পুরো বাগানটি জুড়ে কিশের যেন কানাকানি। বাতাসে সারদিনে বাশেঁর পাতার মধ্যে জমে থাকা পানিতে আমার পুরো গাঁ ভিজে গেছে সে দিকে দৃষ্টি নেই আমার। ঐই পাশ হতে আবার সুমিষ্ট কন্ঠস্বরটির আকাশ ঝাঝাঁলো হাসি। মনে হয় আমি বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ায় হাসছে ও। মনে হলো এই হাসির শব্দটিও যেন আজ সারদিন আমি বৃষ্টির শব্দের মধ্যে শুনতে পেয়েছি আমি । এই হাসির শব্দ গুলো যেন আমার জন্মে জন্মে চেনা।
জীবনের ফোটো ফোটো রাঙা নিশি-ভোর।
তখন আমার বয়স কত ঠিক জানা নেই আমার । তিথিকে কবে প্রথম দেখেছি আমি তা যেন মনে নেই আমার তবে যতটুকু মনে পড়ে আমি তখন অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র। মায়াবী তখন শিশু না কিশোরী এ মূহুর্তে তাও ভাবতে পারছি না আমি।
সেই সময়ে বিধাতা যেন এক অভূতপুর্ব সৌন্দর্যের অবয়অয়ন দিয়ে গড়েছিলো তারে । তার রুপ একবার যে চোখ দেখেছে। তার কি আর সাধ্য ছিলো আরেকটি বার না দেখার। ছোট বেলার সে ছোট কিশোর বয়সে সে সময় ভালোবাসা কি আমি জানতাম না । সুধু এই মেয়েটির সৌন্দর্যের অবয়লীলা দেখার জন্য আমি বার বার আমার বাড়ীর পাশেই তিথির নানা বাড়ি ছুটে যেতাম।
তার মুখের অবয়অয়ন এর পাশাপাশি সবচেয়ে যে আকর্ষনীয় বস্তুটা সবাইকে মুগ্ধ করতো তা হলো ওর মেঘকালো হাটু পর্যন্ত লম্বা চুল। ও মনে হয় ছোট বেলা হতেই খুব সঙ্গ প্রিয় ছিলো। আরো অন্যান্য কিছু মেয়ের সাথে সংঘবদ্ধ ভাবে ওর নানা বাড়ির বিস্তির্ন বাড়ি জুড়ে ছিলো ওর আনাগুনা ।
আমি ওকে দেখার চেয়ে ওর চুলগুলো দেখার প্রত্যাশায় দির্ঘন ওর নানা বাড়ির সামনে দাড়িয়ে থাকতাম। যখনি ওর দেখা মিলতো চোখ বুজে পার্থনা করতাম এর চুলগুলো যেন খোলা থাকে। এলোকেশ গুলো বাতাসে দুলতো আমার চোখদুটো আকাশে উড়ে যাওয়া কালো মেঘের মতো ওর কালো চুলের পিছু পিছু ভেষে বেড়াতো । সুমিষ্ট ঠোট দুটো জুড়ে মুচকি হাসির প্রবাহ বইতো। মাঝে মাঝে তার সেই হাসির মধ্যে রহস্যের ঝলকও দেখেছি। রহস্যে ঘেরা হৃদয়খানীর মতো তার সর্ব অঙ্গ জুড়ে রহস্য ঘেরা। রহস্যময়ীর সাথে প্রথম কথা বলার যে স্মৃতিটা আমার হৃদয়ের মধ্যে অঙ্কিত আছে যে স্মৃতির পট হতে বিস্মৃত হৃদয় গহিনে আজো বেদনার পটভূমি গেড়ে বসে আছে হৃদয়ের পটে সেই স্মৃতি যেন একটা স্পষ্ট আসন গেঢ়ে বসেছে যা শত সহস্র বার চেয়েও একটি নের জন্য হৃদয় হতে বেড় করতে পারিনি আমি। মনে পরে সেই কিশোর বয়সের দুরন্ত বালকের প্রেমের স্মৃতির কথা । সেইদিন সারাটা দিন আকশ জুড়ে মেঘদের অবাধ বিচরন ছিলো । মাঝে মাঝে কিছু বৃষ্টি হয়েছে । ঝড়ো বাতাসের প্রবাহ বইছে সেই সকাল থেকে। তাই সারাদিন ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বাহিরে যাওটা ছিলো বেশ কষ্টকর । পরন্ত বিকেলে সূর্য রাশ্মি মেঘের গন্ডির ভিতর হতে মুচকি হাসি ছড়িয়ে পশ্চিম দিগন্তে আসন গেড়েছে। সারাদিনের অলস প্রহরের আলসতা ভেদ করে চঞ্চল মন যেন উদিপ্ত সূর্য কিরনের মতো জেগে উঠলো। ঘর হতে বাহির হতেই দেখলাম সারাদিনের বৃষ্টিতে বাড়ির সামনের রাস্তাটা বেশ পিচ্ছিল রুপ ধারন করছে। হাটতে খুব অসুবিধা হচ্ছিল তার পর ও হেটে বেড়াচ্ছি বাড়ীর পাশের অথৈই দিঘিটির প্রান্ত জুড়ে । দিঘির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তার উপর দিয়ে বিদুৎ এর খুটির সঙ্গে ঝুলানো তার এর উপর দুটো চিল বসে আছে। কখনো পালক মেলে উদ্যাম দিঘির জলের উপর দিয়ে ডানা প্রশারিত করে হেলিওটোপের মতো উড়ে বেড়াচ্ছে। এরি মাঝে আরেকটি চিল কোথায় হতে যেন সাদা আকশের বুকে অসিম শূনত্যা হতে শূন্যতায় কি যেন খুঁেজ বেরাচ্ছে । আমি এক দৃষ্টে তাকাতেই কিশের যেন এক অপূর্নতা আমায় গ্রাস করলো । মনে হলো চিলটি যেন কিশের অপূর্নতা নিয়ে দুর আকাশে কিছু একটা খুজেঁ বেরাচ্ছে। চিলটির ওরে যাওয়া দেখেই মনে হলো জীবননানন্দ দাশের সেই অমর কবিতাটি
হায় চিল সোনালী ডানার চিল এই ভিজে মেঘের দুপুরে
তুমি আর উড়ে উড়ে কেদো নাকো ধান সিড়িটির পাশে।
পৃথিবীর রাঙা রাজকন্যাদের মতো সেজে রুপ নিয়ে চলে গেছে দুরে
তার আবার কেন ডেকে আনো হৃদয় খুড়ে ভালবেসে কাছে।
হঠৎ ভাবনার তল হতে দৃস্টি ফিরিয়ে তাকাতেই দেখি আকাশের পরে একটি চিলও নেই সুধু অসিম শূন্যতা পুড়ো আকাশ জুড়ে। এলোমেলে ভাবনার অতল তল হতে নিজেকে টেনে তুলে অজানা গন্তব্যের দিকে আবার হাটতে শুরু করলাম রাস্তার সামনেই ছোট একটি পুকুরের মুখ । তার উপরে পাতা হয়েছে ছোট একটি সাঁেকা তার মধ্যে উঠে তাকাতেই একটি সুমিষ্ট হাসি আর সুমিষ্ট কন্ঠ স্বর কেমন আছেন। শব্দটি যেন আমার জীবনের সব চেয়ে বড় এক পাওয়া। তার দিকে অপলক তাকাতেই মনে হলো আমার বাক শক্তি যেন অবরুদ্ধ হয়ে এসেছিলো সেই কেমন আছেন শব্দটির কোন উত্তর আমি সেদিন দিতে পারিনি। আজো কেমন আছি আমি তার উত্তর খুজি সেদিনের কেমন আছেন শব্দগুলোর ভিতর। পেছনেই রহস্যময়ীর মা দাড়িয়ে তাই একমুষ্টি হাসি ছড়িয়ে চলে গেলো ও । আমি পিছনে এক ধ্যানে তাকিয়ে ্ওর চুলগুলো দেখার প্রত্যাশায় । কিন্তু বৃথা দৃষ্টি নিবেন্ধন সেই সময় ্ওর চুলগুলো বাধা ছিলো‘ দেখার প্রত্যাশা পুরন হলোনা। আমি তবুও একদৃষ্টে তাকিয়ে ওর পায়ের নুপুরের রুমঝুম শব্দের শব্দ শুনতে লাগলাম । মনে হলো আজ সারাটা দিন এই শব্দটি যেন আমি বৃষ্টির শব্দের মধ্যে শুনেছি। অনেক দুর এগিয়ে গিয়ে রহস্যময়ী আবার পিছন দিকে দৃষ্টি সেই দৃষ্টির দিকে তাকিয়ে স্থির হয়ে দাড়িয়ে থাকা আমার কাছে এক দূসহ্যনীয় বোঁজা মনে হচ্ছিল। এক দৃষ্টি তাকাতেই মনে হলো আজ সারাটাদিন মেঘের শব্দের মধ্যে যেন রহস্যময়ীর আগমনের শব্দ শুনেছি আমি। সারাদিন রুমঝুম বৃষ্টির শব্দের মতোই বহুদুর হতে এসেছে আগমনি । আমার জীবনে কিশের যেন নতুন আগমনের বার্তা বইতে শুরু করলো। আমার মাথার উপর বিশাল বাশঁ বাগন হঠাৎ বাতাসে পুরো বাগানটি কেঁেপ উঠলো পুরো বাগানটি জুড়ে কিশের যেন কানাকানি। বাতাসে সারদিনে বাশেঁর পাতার মধ্যে জমে থাকা পানিতে আমার পুরো গাঁ ভিজে গেছে সে দিকে দৃষ্টি নেই আমার। ঐই পাশ হতে আবার সুমিষ্ট কন্ঠস্বরটির আকাশ ঝাঝাঁলো হাসি। মনে হয় আমি বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ায় হাসছে ও। মনে হলো এই হাসির শব্দটিও যেন আজ সারদিন আমি বৃষ্টির শব্দের মধ্যে শুনতে পেয়েছি আমি । এই হাসির শব্দ গুলো যেন আমার জন্মে জন্মে চেনা।