কলিজার টুকরো দিয়ে সন্তানের জীবন রক্ষা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
সন্তানের জন্য কলিজাটিও কেটে দিতে পারেন মা। এমন কথা খুব প্রচলিত। এবার সত্যিকার অর্থেই নিজের ফুটফুটে শিশুর জন্য খানিকটা কলিজা (যকৃৎ) কেটে দিলেন বৃটেনের এক মা। তাতেই বেঁচে গেছে এক বছরের শিশুটি।
ব্রিটিশ এই মায়ের নাম লরা রো, ২৫। শিশুটির নাম ক্যামেরন। অস্ত্রোপচার ছিলো খুবই কঠিন একটি কাজ। তবে তাও সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন ব্রিটিশ চিকিৎসকরা।
লরা রো বললেন, আমার সৌভাগ্য যে আমি নিজের সন্তানটিকে বাঁচিয়ে তুলতে পেরেছি। খুব কম মা-ই পৃথিবীতে এমন ভাগ্য নিয়ে জন্মায়।
লাইভ ভিডিও সার্জারির মাধ্যমে লিডস এর সেন্ট জেমস হসপিটালের চিকিৎসকরা লরার যকৃতের এক-তৃতীয়াংশ কেটে আলাদা করে তা বসিয়ে দিয়েছেন শিশু ক্যামেরনের শরীরে।
সার্জারির পর মা-ছেলে দুজনই ভালো আছে। ১৫ দিনের মাথায় তারা দুজনই হাসপাতাল ছেড়ে বাড়িতে গেছে। সেখানে স্বাভাবিক জীবন যাপনও করছে মা-শিশু।
শিশুর শরীরের ভেতরে মায়ের যকৃৎ ধীরে ধীরে বড় হবে আর মায়ের যকৃৎটিও ধীরে ধীরে ফিরে পাবে তার পূর্ণাঙ্গ আকার, এমনটাই বক্তব্য চিকি
৬৬ বছরে ৩৯ বউ, চাই আরও!
সন্তান-সন্ততিসহ জিয়না চানা ও তার ১০০ ঘরবিশিষ্ট বাড়ি
প্রচলিত আছে ‘কাউকে বিপদে ফেলতে চাও তো বিয়ে করিয়ে দাও’। বিয়ে নিয়ে তাই আমাদের ভাবনার শেষ নেই। বিয়ে তাই অনেকের কাছে রীতিমত ভীতির ব্যাপার- চিকিৎসা বিজ্ঞানে যাকে বলে ম্যারেজ ফোবিয়া। কিন্তু উত্তর ভারতের জিয়না চানা’র কাছে বিয়ে নিয়ে এসব ভাবাভাবির কোনও ফুরসৎ নেই।
মিয়ানমারের সীমানা ঘেষা মিজোরাম রাজ্যের উঁচু পাহাড়ি গ্রামের জিয়না চানার বয়স এখন ৬৭ ছুঁই ছুঁই। বয়সে তাকে ৬৭ বছরের বুড়ো ভাবলেও চানা কিন্তু তেমনটি ভাবেন না। বর্তমানে তার বিয়ে করা স্ত্রীর সংখ্যা মাত্র ৩৯ জন। মাত্র বলছি এ কারণে যে, ৬৭ বছরেও চানার আরও বিয়ের করার ইচ্ছেটা মোটেও কমে যায়নি।
সংবাদ মাধ্যমের ভাষ্যমতে, কেউ আগ্রহী হলে তিনি নাকি আরও কয়েকটি বিয়ে করতে একপায়ে খাড়া। ‘প্রতিদিনই আমি আমার পরিবার বর্ধিত করতে চাই এবং আরও বিয়ে করতে চাই’- বিয়ে এবং পরিবার নিয়ে জিয়না তার মনোভাব প্রকাশ করেন এভাবেই।
১৭ বছর বয়েসে চানা প্রথম বিয়ে করেন। তার সেই স্ত্রীর বয়স ছিল তখন তার চেয়ে ৩ বছর বেশি। সে-ই শুরু। তারপর আর থেমে থাকেনি বিয়ে নামের দিল্লিকা লাড্ডুর পৌণপুনিক স্বাদ গ্রহণ করার পালা।
বিয়ের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে চানা বলেন- একটা সময় ছিল যখন আমি বছরে সর্বোচ্চ ১০টি পর্যন্ত বিয়ে করেছি। চানার ৩৯ জন স্ত্রীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছে ৯৪ জন ছেলেমেয়ে। ছেলেমেয়েদের ঘরে জন্ম নেওয়া নাতি-নাতনীর সংখ্যা এরই মধ্যে দাঁড়িয়েছে ৩৩। অর্থাৎ ৬৭ বছরের বুড়ো চানার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা এখন ১৬৭।
চানার নিজ গ্রামের চারতলা একটি দালানে ১০০টি রুমে বসবাস করছে পরিবারের সব সদস্য। আর তার স্ত্রীরা থাকেন চানার নিজ বেডরুমের পাশের একটি ডরমেটরিতে গাদাগাদি করে। তবে স্থানীয়রা জানান, সব সময় স্ত্রীদের অন্তত ৭-৮ জন তার চারপাশ ঘিরে থাকুক-চানার পছন্দ এমনটিই।
১৬৭ সদস্যের বিশাল এ পরিবারের প্রতিদিনের খাবারের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন পড়ে কমপক্সে ৯১ কেজি চাল এবং ৫৯ কেজি আলু যার অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা এবং বাকি তার অনুসারিদের অনুদানের মাধ্যমে সংগৃহীত হয়।
১৯৪২ সালে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বনকারী জিয়না চানা পরে নিজেই একটি ধর্মীয় মতবাদ প্রতিষ্ঠা করেন। বহুবিবাহে বিশ্বাসী চানা মনে করেন- বহুবিবাহের মাধ্যমে তার প্রবর্তিত বিশেষ খ্রিস্ট ধর্ম এক সময় সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। আর মূলতঃ এ কারণেই নাকি চানা ৩৯ টি বিয়ে করেছেন!
অন্যায় বাড়াবাড়ি জায়েজ করার অসাধারণ অজুহাত বটে
সন্তানের জন্য কলিজাটিও কেটে দিতে পারেন মা। এমন কথা খুব প্রচলিত। এবার সত্যিকার অর্থেই নিজের ফুটফুটে শিশুর জন্য খানিকটা কলিজা (যকৃৎ) কেটে দিলেন বৃটেনের এক মা। তাতেই বেঁচে গেছে এক বছরের শিশুটি।
ব্রিটিশ এই মায়ের নাম লরা রো, ২৫। শিশুটির নাম ক্যামেরন। অস্ত্রোপচার ছিলো খুবই কঠিন একটি কাজ। তবে তাও সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন ব্রিটিশ চিকিৎসকরা।
লরা রো বললেন, আমার সৌভাগ্য যে আমি নিজের সন্তানটিকে বাঁচিয়ে তুলতে পেরেছি। খুব কম মা-ই পৃথিবীতে এমন ভাগ্য নিয়ে জন্মায়।
লাইভ ভিডিও সার্জারির মাধ্যমে লিডস এর সেন্ট জেমস হসপিটালের চিকিৎসকরা লরার যকৃতের এক-তৃতীয়াংশ কেটে আলাদা করে তা বসিয়ে দিয়েছেন শিশু ক্যামেরনের শরীরে।
সার্জারির পর মা-ছেলে দুজনই ভালো আছে। ১৫ দিনের মাথায় তারা দুজনই হাসপাতাল ছেড়ে বাড়িতে গেছে। সেখানে স্বাভাবিক জীবন যাপনও করছে মা-শিশু।
শিশুর শরীরের ভেতরে মায়ের যকৃৎ ধীরে ধীরে বড় হবে আর মায়ের যকৃৎটিও ধীরে ধীরে ফিরে পাবে তার পূর্ণাঙ্গ আকার, এমনটাই বক্তব্য চিকি
৬৬ বছরে ৩৯ বউ, চাই আরও!
সন্তান-সন্ততিসহ জিয়না চানা ও তার ১০০ ঘরবিশিষ্ট বাড়ি
প্রচলিত আছে ‘কাউকে বিপদে ফেলতে চাও তো বিয়ে করিয়ে দাও’। বিয়ে নিয়ে তাই আমাদের ভাবনার শেষ নেই। বিয়ে তাই অনেকের কাছে রীতিমত ভীতির ব্যাপার- চিকিৎসা বিজ্ঞানে যাকে বলে ম্যারেজ ফোবিয়া। কিন্তু উত্তর ভারতের জিয়না চানা’র কাছে বিয়ে নিয়ে এসব ভাবাভাবির কোনও ফুরসৎ নেই।
মিয়ানমারের সীমানা ঘেষা মিজোরাম রাজ্যের উঁচু পাহাড়ি গ্রামের জিয়না চানার বয়স এখন ৬৭ ছুঁই ছুঁই। বয়সে তাকে ৬৭ বছরের বুড়ো ভাবলেও চানা কিন্তু তেমনটি ভাবেন না। বর্তমানে তার বিয়ে করা স্ত্রীর সংখ্যা মাত্র ৩৯ জন। মাত্র বলছি এ কারণে যে, ৬৭ বছরেও চানার আরও বিয়ের করার ইচ্ছেটা মোটেও কমে যায়নি।
সংবাদ মাধ্যমের ভাষ্যমতে, কেউ আগ্রহী হলে তিনি নাকি আরও কয়েকটি বিয়ে করতে একপায়ে খাড়া। ‘প্রতিদিনই আমি আমার পরিবার বর্ধিত করতে চাই এবং আরও বিয়ে করতে চাই’- বিয়ে এবং পরিবার নিয়ে জিয়না তার মনোভাব প্রকাশ করেন এভাবেই।
১৭ বছর বয়েসে চানা প্রথম বিয়ে করেন। তার সেই স্ত্রীর বয়স ছিল তখন তার চেয়ে ৩ বছর বেশি। সে-ই শুরু। তারপর আর থেমে থাকেনি বিয়ে নামের দিল্লিকা লাড্ডুর পৌণপুনিক স্বাদ গ্রহণ করার পালা।
বিয়ের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে চানা বলেন- একটা সময় ছিল যখন আমি বছরে সর্বোচ্চ ১০টি পর্যন্ত বিয়ে করেছি। চানার ৩৯ জন স্ত্রীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছে ৯৪ জন ছেলেমেয়ে। ছেলেমেয়েদের ঘরে জন্ম নেওয়া নাতি-নাতনীর সংখ্যা এরই মধ্যে দাঁড়িয়েছে ৩৩। অর্থাৎ ৬৭ বছরের বুড়ো চানার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা এখন ১৬৭।
চানার নিজ গ্রামের চারতলা একটি দালানে ১০০টি রুমে বসবাস করছে পরিবারের সব সদস্য। আর তার স্ত্রীরা থাকেন চানার নিজ বেডরুমের পাশের একটি ডরমেটরিতে গাদাগাদি করে। তবে স্থানীয়রা জানান, সব সময় স্ত্রীদের অন্তত ৭-৮ জন তার চারপাশ ঘিরে থাকুক-চানার পছন্দ এমনটিই।
১৬৭ সদস্যের বিশাল এ পরিবারের প্রতিদিনের খাবারের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন পড়ে কমপক্সে ৯১ কেজি চাল এবং ৫৯ কেজি আলু যার অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা এবং বাকি তার অনুসারিদের অনুদানের মাধ্যমে সংগৃহীত হয়।
১৯৪২ সালে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বনকারী জিয়না চানা পরে নিজেই একটি ধর্মীয় মতবাদ প্রতিষ্ঠা করেন। বহুবিবাহে বিশ্বাসী চানা মনে করেন- বহুবিবাহের মাধ্যমে তার প্রবর্তিত বিশেষ খ্রিস্ট ধর্ম এক সময় সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। আর মূলতঃ এ কারণেই নাকি চানা ৩৯ টি বিয়ে করেছেন!
অন্যায় বাড়াবাড়ি জায়েজ করার অসাধারণ অজুহাত বটে