বিক্রমপুর সৃষ্টির ইতিহাস ও রাজনৈতিক পালাবদলের প্রাসঙ্গিক কিছু কথা (২৫) -ব.ম শামীM সিলেটে হযরত শাহজালাল ৩৬০ জন আউলিয়া লইয়া আসিয়া ইসলাম ধর্মপ্রচার করতে শুরু করিলে শুধূ সিলেট নয় সমগ্র পূর্ববঙ্গ ইহাদের দ্বারা ধর্ম প্রচারিত হতে থাকে। সিলেটের ন্যায় বিক্রমপুরে বাবা আদম ধর্ম প্রচার করতে শুরু করিলে হিন্দু জাতী অতিশয় ধর্মপরায়ন হলেও ইসলাম ধর্মের সাম্য মৈত্রি ভাব দেখিয়া বিশেষ করে নিন্ম শ্রেনীর হিন্দু বর্নের লোকজন মুসলমান ধর্ম গ্রহন করতে লাগিল। এ ধর্মে বহুবিবাহ, বিধাব বিবাহ ,এবং বিবাহ ক্ষেত্রে কোন জাত গোত্রে ভেদাভেদ না থাকায় এ ধর্ম দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করিলো। প্রাচিন আদমশুমারীর বিবরণী হতে জানা যায়, বিক্রমপুর আয়াতনের দিক দিয়ে অধিক না ইইলেও এখানকার জনসংখ্যার ঘনত্ব অধিক ছিলো। সে সময় বাংলাদেশে চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগে মুসলমান সংখ্যা অধিক ছিলো। বিক্রমপুরে লৌহজং, শ্রীনগর,মুন্সীগঞ্জ উপজেলায় মুসলমান সংখ্যা অধিক টঙ্গীবাড়ী ও সিরাজদিখান থানায় হিন্দু সংখ্যা অধিক ছিলো। বিক্রমপুর বহুজাতী লোকের বাস মুসলমানদের মধ্যে সেখ সৈয়দ,পাঠান হিন্দুদের মধ্যে ব্রাক্ষন, বেদ্য, কায়স্থ, বারুই, বেদিয়া , ধোপা,গোপ ইত্যাদি প্রধান ছিলো।
সিঙ্গাপুরে বাসাগৃহে কাজের মেয়েরা সাপ্তাহিক ছুটি পাবে বি.চিত্র ডেস্ক: সব চাকরিতেই রয়েছে সাপ্তাহিক ছুটি। কোথাও একদিন, আর কোথাও দু’দিন। কিন্তু গৃহকর্মীদের বেলায় সেটা মানা হয় না। সিঙ্গাপুর সরকার সেইসব শ্রমিকদের সপ্তাহে একদিন ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । তবে কোনো মালিকপক্ষ চাইলে ছুটির দিনে ওভারটাইমের জন্য অর্থ দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে পারবেন। আগামী বছর থেকে এই আইন কার্যকর হবে। নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) এবং সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন সংস্থা এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে মালিকপক্ষ সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। সে দেশের মানবাধিকারকর্মীরা জানিয়েছে, গৃহকর্মীরা একটানা ছুটিবিহীন কাজ করতে গিয়ে হতাশা বা অবসাদে ভুগতে শুরু করে। এতে চরম একাকিত্ব দানা বাধতে শুরু করে তাদের মধ্যে। ফলে খুনের মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। এর থেকে মুক্তির উপায় সাপ্তাহিক ছুটি। সিঙ্গাপুরে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সম্প্রতি একটি জরিপে দেখা যায়, একজন গৃহকর্মী প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা কাজ করে। আর মাত্র ১২ শতাংশ সপ্তাহে একদিন ছুটি পায়। সিঙ্গাপুরে চাকরি করেন এমন দম্পতির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ফলে গৃহকর্মীর প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। বর্তমানে সেখানে গৃহকর্মীর সংখ্যা দুই লাখের উপরে। এদের বেশিরভাগ এসেছে ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের।
বি.চিত্র ডেস্ক: ১২০ কোটি অধিবাসীর দেশ ভারতে অর্ধেক মানুষই খোলা আকাশের নীচে মলত্যাগ করে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপে দেখা যায়, ভারতের মোট বসতবাড়ির অর্ধেকেই কোনো শৌচাগার নেই। অথচ দেশটিতে এর থেকে বেশি মানুষের হাতেই রয়েছে মোবাইল ফোন। ভারতের মোট ২৪ কোটি ৪৬ লাখ বসতবাড়ির মধ্যে শৌচাগার আছে ৪৬.৯ শতাংশ বাড়িতে। বাকি ৪৯.৮ শতাংশ বাড়ির বাসিন্দারা খোলা আকাশের নিচেই কর্মটি সম্পন্ন করেন। ৩.২ শতাংশ বাড়ির বাসিন্দারা ব্যবহার করেন পাবলিক টয়লেট। ভারতের অদমশুমারি বিভাগের এক জরিপে এ তথ্য জানা গেছে। ২০১১’র সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যায়, ভারতের ৬৩.২ শতাংশ বাড়িতেই টেলিফোন সংযোগ আছে। অর্থাৎ যে বালেট নেই সেই বাড়িতেও মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন জরিপের এই তথ্য একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েছে সমাজব্যবস্থার বিশেষ করে ভারতীয় সমাজের জটিল প্রকৃতি ও অসঙ্গতিপূর্ণ বৈপরীত্যকেই উন্মোচন করছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতির সুফলভোগী ভারতের কোটি কোটি মানুষ যেখানে নিত্যনতুন প্রযুক্তির পণ্যসামগ্রী ক্রয় করার সামর্থ্য রাখে সেখানে ন্যূনতম মৌলিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত দেশটির অর্ধেক মানুষেরই এমনকি টয়লেটে যাওয়ারও সঙ্গতি নেই। জরিপে দেখা যায়, ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ঝাড় খন্ড রাজ্যের ৭৭ শতাংশ বাড়িতেই টয়লেট নেই। উড়িষ্যায় এই হার ৭৬.৬ শতাংশ এবং বিহারে ৭৫.৮ শতাংশ। এই তিনটি রাজ্যই ভারতের সবচেয়ে অবহেলিত অঞ্চল যেখানে বেশিরভাগ মানুষই দৈনিক এক ডলারেরও কম আয় জীবন ধারণ করে। ভারতের শুমারি কমিশনার এবং রেজিস্ট্রার জেনারেল সি চন্দ্রমউলি গত মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে এই জরিপের তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের সময় বলেন, ‘খোলা আকাশের নিচে মলত্যাগ অব্যাহত থাকা ভারতের জন্য একটি গভীর উদ্বেগের ব্যাপার। দেশের অর্ধেক মানুষই এই কাজে বাধ্য হচ্ছে।’ প্রচলিত সংস্কৃতি ও সংস্কার এবং উপযুক্ত শিক্ষার অভাবই এ ধরনের অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের জন্য দায়ী বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আরো অনেক রাস্তা পাড়ি দিতে হবে বলে তিনি মতপ্রকাশ করেন। জরিপে এর পাশাপাশি ভারতের পরিবার ব্যবস্থা সম্বন্ধেও আরেকটি বিস্ময়কর তথ্য উঠে এসেছে। ভারতীয় পরিবারগুলোর ৭০ শতাংশই এখন এক দম্পতি বিশিষ্ট। এই ফলাফল ভারতের পারিবারিক এবং আর্থসামাজিক অবস্থার নাটকীয় পরিবর্তন নির্দেশ করে যেখানে পূর্বে যৌথ পরিবারকেই ভারতীয় ঐতিহ্যের আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। এছাড়া বিনোদন ও তথ্যের সুবিধা গ্রহণের ক্ষেত্রে ভারতের সমাজ জীবনে কি ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে তার একটি চিত্রও উঠে আসে জরিপের তথ্যে। জরিপে দেখা গেছে, ভারতের মোট জনসংখ্যার ৫৩.২ শতাংশই বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। এছাড়া ৪৭.২ শতাংশের বাড়িতে টেলিভিশন রয়েছে। তবে এখনও কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের সুবিধা গ্রহণের ক্ষেত্রে ভারতের বিশাল জনগোষ্ঠী এখনও পিছিয়ে আছে। মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩.১ শতাংশ ইন্টারনেট সুবিধাসহ কম্পিউটার ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে আসে। এই জরিপ আসলে সবার সামনে একটি তিক্ত সত্য উন্মোচিত করে। দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতির কারণে যেখানে ভারতে সৃষ্টি হওয়া উঠতি মধ্যবিত্ত ও ধনিক শ্রেণি নাগরিক জীবনের সাম্প্রতিকতম সুবিধাগুলো সহজেই গ্রহণ করতে পারে সেখানে উন্নয়নের চাকায় পিষ্ট হয়ে দেশটির বেশির ভাগ মানুষই এখনও তাদের বেঁচে থাকার মৌলিক চাহিদাও মেটাতে পারে না। বাজার অর্থনীতির এই যুগে এ সত্য শুধু ভারতের জন্যই প্রযোজ্য নয়, বরং তৃতীয় বিশ্বের স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল সব দেশের জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য। সম্পদের সুষম ব্যবহার এবং সামাজিক সমতা এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একটি উপায় হতে পারে বলে অনেকেই মনে করেন।
টঙ্গীবাড়ীতে শেখ রাসেল ক্রিক্রেট টূর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত
টঙ্গীবাড়ী থেকে ফিরোজ আলম বিপ্লবঃ মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আউটশাহী রাধানাথ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গতকাল শেখ রাসেল স্মৃতি গ্লোড কাপের ফাইনাল ক্রিক্রেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আউটশাহী ও মীরকাদিম দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। খেলায় আউটশাহী চ্যাম্পিয়ান ও মীরকাদির রানার্স আপ হয়। মো. জহিরুল হক লিটন ঢালীর উদ্বোধনে উক্ত খেলার পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমান, প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন টঙ্গীবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জগলুল হাওলাদার ভূতূ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের সভাপতি, মহাসিন মাখন,লৌহজং উপজেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃ হামিদ ফকির,আউটশাহী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সেকান্দার বেপারী, আউটশাহী রাধানাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু ধীরেন দত্ত, মেম্বার আ. রহমান প্রমূখ। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুন্সীগঞ্জ জেলা শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি মো. শামীম আলম।
মুন্সীগঞ্জে অর্থমন্ত্রীর প্রতœতাত্ত্বিক খনন কাজ পরিদর্শন মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুরামপুরের প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন পরিদর্শন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। ১৩ এপ্রিল শুক্রবার বেলা ৩টায় সদ্য আবিষ্কৃত একটি প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে আরো ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, স্থানীয় সাংসদ এম ইদ্রিস আলী, জেলা প্রশাসক আজিজুল আলম, প্রতœতত্ত্ব বিভাগের মহাপরিচালক শফিকুল ইসলাম ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফর রহমান। এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিক্রমপুর এবং মুন্সীগঞ্জ ঐতিহাসিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। পাল রাজত্বকালে দেশে বৌদ্ধবিহার স্থাপিত হয়। সে হিসেবে এখানে একটি বৌদ্ধবিহার পাওয়া যেতে পারে। তবে সেজন্য এ অঞ্চলের সকলকে সহযোগিতা করতে হবে।’এ ব্যাপারে প্রতœতাত্ত্বিক গবেষণা বিভাগের প্রকল্প পরিচালক ড. সুফি মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এটি এখন পর্যন্ত যতটুকু খনন করা হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে, একটি বৌদ্ধবিহারের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।’
স্কুলছাত্রীকে অপহরণ: ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা বি.চিত্র প্রতিবেদকঃ মুন্সীগঞ্জে স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার মনিরাকে (১৪) উত্ত্যক্ত ও অপহরণের অভিযোগে ১৬ এপ্রিল সোমবার দুপুর ১টার দিকে স্কুলছাত্রীর মা মাসুদা বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বখাটে রুবেলসহ ৬ জনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা রুজু হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মুন্সীগঞ্জ শহরের হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকার মজিবুর রহমানের মেয়ে এ ভি জিএম সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী তানজিলা আক্তার মনিরাকে স্কুলে যাওয়ার সময় চরকিশোরগঞ্জ এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে রুবেল উক্ত্যক্ত করতো। গত ১২ এপ্রিল স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে রুবেল ও তার সহযোগীরা মনিরাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এদিকে স্থানীয় সূত্র জানায়, স্কুলছাত্রীর মনিরার সঙ্গে রুবেলের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। তারা স্বেচ্ছায় পালিয়েছে বলে সূত্রটি দাবী করে। সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সুলতানউদ্দিন মামলা রুজু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ মাঠে নেমেছে। এছাড়া স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে না স্বেচ্ছায় পালিয়েছে তারও তদন্ত শুরু হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জে নামধারী সাংবাদিক জেল হাজতে
সংবাদ২৪.নেট : সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নামধারী এক সাংবাদিকে মুন্সীগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর টঙ্গীবাড়ি প্রেসকাবের আহ্বায়ককে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কথিত ঐ নামধারী সাংবাদিককে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। জানাগেছে, দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকার টঙ্গীবাড়ি প্রতিনিধি পরিচয়ে জনৈক খান আবু বকর সিদ্দিক এলাকার বিভিন্ন সন্ত্রসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। এরই ধারাবাহিকতায় সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে প্রকাশ্যে বিক্রমপুর টঙ্গীবাড়ী প্রেসকাবের আহ্বায় শামীম বেপারীর উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় আহত শামীম বেপারী মুন্সীগঞ্জ আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে মুন্সীগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে খান আবু বকর জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নিদের্শ দেন। এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী প্রেসকাবের আহ্বায়ক কমিটিরি সদস্যরা জানান, সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিনিধি পরিচয়ে ঐ সাংবাদিক সাধারণ মানুষ ও প্রশাসনের ব্যাক্তিদের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজীতে জরিয়ে পরে। এ ছাড়া প্রেসকাবের উন্নয়নের কথাবলেও বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। নিজেদের ভাবমুর্তী রায় টঙ্গীবাড়ী প্রেসকাবের কর্মরত সাংবাদিকরা আবু বকর সিদ্দিককে এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ুব্ধ হয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর আবু বকর সিদ্দিক বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে প্রেসকাবের আহ্বায়কসহ অন্য সদস্যদের উপর হামলা চালান। এতে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার টঙ্গীবাড়ী প্রতিনিধি ও প্রেসকাবের আহবায়ক শামীম বেপারী, বাংলাদেশ সময় পত্রিকার প্রতিনিধি কাজী আকরাম ও দৈনিক জনতা’র প্রতিনিধি আব্দুল আল মামুন আহত হন।
আধারায় বিয়ে বাড়ীতে সংঘর্ষে আহত ২০ বি.চিত্র প্রতিবেদক: মুন্সীগঞ্জের আধারা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত ৮টায় বিয়ে বাড়িতে মাংস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- বর শরবত ছৈয়াল (৩০), হযরত আলী (৫০), পিয়ারা বেগম (২৫) সোনিয়া (২৬), সেতারা (২৮), ফালানি বেগম (৪০), ভিডিও ক্যামেরাম্যান হুমায়ুন (৩০), সাজু সুইটি (৩০), পারভিন (৩৭) ও বরের ভাই জসিম (২৪)। জসিমকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মঙ্গলবার সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নে সৈয়দপুর গ্রামের হযরত আলী ছৈয়ালের কাতার প্রবাসী ছেলে শরবত আলীর সঙ্গে একই ইউনিয়নের দক্ষিন টরকি গ্রামের পচা গাজীর মেয়ে নাহিদা আত্তার আন্নার বিয়ে ঠিক হয়। সে অনুযায়ী বর পক্ষ ৮০জন বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে যায়। পরে কনে পক্ষ্য বরযাত্রীদের আপ্যায়নের সময় বরের ছোট ভাই মাংস না খেয়ে মাটিতে ফেলে দিলে কনের পক্ষের লোকজন অশালীন মন্তব্য করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। বরের পিতা হযরত আলী ব জানায়, ঘটনার পর বিয়ে উপলক্ষে নেওয়া প্রায় ৪ লাখ টাকার সামগ্রী রেখে দিয়েছে কনে পক্ষ। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দাখিলের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি। কনের পিতা পচা গাজী জানান, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বর পক্ষের লোকজনের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। ফলে বিয়ে পন্ড হয়ে যায়। সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুলতানউদ্দিন জানান, এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ না আসায় আমরা কিছু জানিনা।
ভূমিকম্প এবং বাংলদেশের অবস্থান
বি.চিত্র ডেস্ক: পৃথিবীর মধ্যে যত প্রাকৃতিক দুর্যোগের রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হল ভূমিকম্প। এর স্থায়িত্ব স্বল্প সময়ের জন্য হলেও এর ক্ষয়ক্ষতি বর্ণনাতীত। এদিকে ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ জোনে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ঘনবসতির এ নগরীতে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হলেই ৩০ শতাংশ ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে যাবে। সেই সঙ্গে ঢাকা হয়ে উঠবে লাশের নগরী। জানিয়ে দিচ্ছি বাংলাদেশের কোন জায়গায় কেমন ভূমিকম্প ঝুঁকি রয়েছে। সেই সঙ্গে ভূমিকম্প সহনশীল অট্টালিকা তৈরির কিছু প্রায় ৮ মাত্রার বা তার বেশি ছিল। কিন্তু বর্তমানে যদি রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয় তবে ঢাকার প্রায় ৩০ শতাংশ ঘরবাড়ি ভেঙ্গে যাবে।
গজারিয়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী আটক
বি.চিত্র প্রতিবেদক : গজারিয়া উপজেলার লীপুরা গ্রামে শনিবার রাতে শাহীনূর (২০) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তার পাষণ্ড স্বামী। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী হুমায়ুন কবির রাজুকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা জানায়, ৯ মাস আগে একই উপজেলার ইমামপুরার বাঘাইকান্দি গ্রামের কালু মিয়ার মেয়ে শাহীনূরের সঙ্গে লীপুরা গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে হুমায়ুন কবির রাজুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে পারিবারিক কলহ লেগেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার বিকেলে ওই দম্পতির মধ্যে ঝগড়া হয়। এর একপর্যায়ে রাজু নিজের ঘরে শাবল নিয়ে কুপিয়ে জখম করে শাহীনূরকে। এ সময় পেটে, পিঠে ও কানে আঘাতপ্রাপ্ত শাহীনূরকে প্রথমে ভবেরচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ তাদের বাড়ি গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় এবং ঘাতক স্বামী রাজুকে আটক করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, মাদকাসক্ত রাজু বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধর করতো বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ঘটনার দিনও যৌতুক নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ত্রীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।