পদ্মা সেতু নিয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে চুক্তি ২১ ফেব্রুয়ারি
বি.চিত্র ডেস্ক : পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি সমঝোতা চুক্তি স্বার করবে বাংলাদেশ। সরকার টু সরকার পর্যায়ে চুক্তির ব্যাপারে প্রস্তুতি চলছে। প্রস্তাবিত পদ্মা সেতু নির্মাণে ৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন আরএম (২১৬ কোটি মার্কিন ডলার) বিনিয়োগ করবে মালয়েশিয়ান সরকার।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অবকাঠামো বিষয়ক দূত (ভারত ও দণি এশিয়া) দাতো সেরি এস সামি ভেল্লু শনিবার মালয়েশিয়ার নিউজ এজেন্সি বার্নামাকে দেয়া এক সাাতকারে এ কথা বলেছেন। সাাতকারে তিনি আরও বলেন, গত মাসে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করা হয়েছে। আমরা বলেছি, পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য আমরা প্রস্তুত। ওই পরিদর্শনের সময় সেতু নির্মাণের ব্যয় ও টেকনিক্যাল প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। আশা করছি চলতি মাসের মধ্যেই, বিশেষ করে ২১ ফেব্রুয়ারি সেতু নির্মাণে দুই দেশের সরকারের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বার হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাাত করে বিষয়টি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতো সেরি নাজিব রাজ্জাককে অবহিত করা হয়েছে। প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়, দুই দেশের সরকার টু সরকার পর্যায়ে বিশেষ প্রস্তাবিত পরিবহন (এসপিভি) পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা হবে। এই এসপিভি মালয়েশিয়ান প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিকভাবে অভিজ্ঞ বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যৌথ কনসোর্টিয়াম গঠন করবে। এই কনসোর্টিয়াম মালয়েশিয়া সরকারের কাছ থেকে কোন ধরনের আর্থিক সহায়তা না নিয়েই নিজেরা এটি বাস্তবায়ন করবে।
এই কনসোর্টিয়াম দুবাই থেকে অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে অর্থ সংগ্রহের ব্যাপারে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের কোন আপত্তি নেই বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন দাতো সেরি এস সামি ভেল্লু। ওই সময় পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে মালয়েশিয়া সরকারের প থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়। তবে সেতু নির্মাণের েেত্র সাতটি শর্ত জুড়ে দেয়া হয়। এর মধ্যে সেতু নির্মাণের পর ৫০ বছর রণাবেণের দায়িত্ব এবং ২৫ বছর পর্যন্ত যানবাহনের টোল আদায়ের দায়িত্ব, সেতুটি লাভজনক করতে প্রয়োজনীয় স্থানে রাজস্ব ভর্তুকি প্রদান, ট্যাক্সমুক্ত নির্মাণ সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি আমদানির প্রস্তাব দেয়া হয়। এছাড়া পরিবেশগত ও মানবাধিকারসহ কোন কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব না হয় সে ব্যাপারে সরকারের অর্থ প্রবাহের নিশ্চয়তা চাওয়া হয়।
মালয়েশিয়ার প থেকে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য পদ্মা সেতুর মধ্যে মাল্টিপারপাস রাস্তা ও রেলওয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। মালয়েশিয়া কন্সট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি এবং সরকারের সঙ্গে সংযুক্ত নির্মাণ কোম্পানি যৌথভাবে এই সেতু নির্মাণ করবে। এটি মনিটরিং করা হবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ কূটনৈতিক বিভাগ থেকে।
সেমি ভেল্লু সাাতকারে বলেন, বাংলাদেশের পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে মালয়েশিয়া বিশ্বকে জানাতে চায়। বিশ্বের যে কোন কিছু করার সমতা মালয়েশিয়ার রয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের কাজ শুরু করার বিষয়টি দুই দেশের সরকার ঠিক করবে।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি করে। এছাড়া এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ৬১ দশমিক ৫ কোটি ডলার, , জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন ৪০ কোটি ডলার এবং ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ১৪ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক সহায়তা বন্ধ করে দেয়। দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে অনুসন্ধান করতে দায়িত্ব দেয়া হয়। এদিকে বিশ্বব্যাংক নিজস্বভাবে এবং কানাডিয়ান পুলিশও পদ্মা সেতুর দুর্নীতির ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে। অবশ্য গত ২৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে তাদের কাছ থেকে কোন অর্থ নেয়া হবে না।
অবশ্য গত ২ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিং করে বলে, সেতু নির্মাণে প্রাক যোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে এখনও পর্যন্ত কোন দুর্নীতির প্রমাণ পায়নি দুদক। তবে পরামর্শক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করছে কানাডিয়ান পুলিশ। এ পরিস্থিতিতে সেতু নির্মাণের জন্য সরকার বিকল্প পথ খোঁজে। শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়া সরকার দেশের এই বৃহত্তম সেতু নির্মাণে এগিয়ে আসে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অবকাঠামো বিষয়ক দূত (ভারত ও দণি এশিয়া) দাতো সেরি এস সামি ভেল্লু শনিবার মালয়েশিয়ার নিউজ এজেন্সি বার্নামাকে দেয়া এক সাাতকারে এ কথা বলেছেন। সাাতকারে তিনি আরও বলেন, গত মাসে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করা হয়েছে। আমরা বলেছি, পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য আমরা প্রস্তুত। ওই পরিদর্শনের সময় সেতু নির্মাণের ব্যয় ও টেকনিক্যাল প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। আশা করছি চলতি মাসের মধ্যেই, বিশেষ করে ২১ ফেব্রুয়ারি সেতু নির্মাণে দুই দেশের সরকারের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বার হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাাত করে বিষয়টি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতো সেরি নাজিব রাজ্জাককে অবহিত করা হয়েছে। প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়, দুই দেশের সরকার টু সরকার পর্যায়ে বিশেষ প্রস্তাবিত পরিবহন (এসপিভি) পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা হবে। এই এসপিভি মালয়েশিয়ান প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিকভাবে অভিজ্ঞ বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যৌথ কনসোর্টিয়াম গঠন করবে। এই কনসোর্টিয়াম মালয়েশিয়া সরকারের কাছ থেকে কোন ধরনের আর্থিক সহায়তা না নিয়েই নিজেরা এটি বাস্তবায়ন করবে।
এই কনসোর্টিয়াম দুবাই থেকে অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে অর্থ সংগ্রহের ব্যাপারে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের কোন আপত্তি নেই বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন দাতো সেরি এস সামি ভেল্লু। ওই সময় পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে মালয়েশিয়া সরকারের প থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়। তবে সেতু নির্মাণের েেত্র সাতটি শর্ত জুড়ে দেয়া হয়। এর মধ্যে সেতু নির্মাণের পর ৫০ বছর রণাবেণের দায়িত্ব এবং ২৫ বছর পর্যন্ত যানবাহনের টোল আদায়ের দায়িত্ব, সেতুটি লাভজনক করতে প্রয়োজনীয় স্থানে রাজস্ব ভর্তুকি প্রদান, ট্যাক্সমুক্ত নির্মাণ সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি আমদানির প্রস্তাব দেয়া হয়। এছাড়া পরিবেশগত ও মানবাধিকারসহ কোন কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব না হয় সে ব্যাপারে সরকারের অর্থ প্রবাহের নিশ্চয়তা চাওয়া হয়।
মালয়েশিয়ার প থেকে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য পদ্মা সেতুর মধ্যে মাল্টিপারপাস রাস্তা ও রেলওয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। মালয়েশিয়া কন্সট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি এবং সরকারের সঙ্গে সংযুক্ত নির্মাণ কোম্পানি যৌথভাবে এই সেতু নির্মাণ করবে। এটি মনিটরিং করা হবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ কূটনৈতিক বিভাগ থেকে।
সেমি ভেল্লু সাাতকারে বলেন, বাংলাদেশের পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে মালয়েশিয়া বিশ্বকে জানাতে চায়। বিশ্বের যে কোন কিছু করার সমতা মালয়েশিয়ার রয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের কাজ শুরু করার বিষয়টি দুই দেশের সরকার ঠিক করবে।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি করে। এছাড়া এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ৬১ দশমিক ৫ কোটি ডলার, , জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন ৪০ কোটি ডলার এবং ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ১৪ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক সহায়তা বন্ধ করে দেয়। দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে অনুসন্ধান করতে দায়িত্ব দেয়া হয়। এদিকে বিশ্বব্যাংক নিজস্বভাবে এবং কানাডিয়ান পুলিশও পদ্মা সেতুর দুর্নীতির ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে। অবশ্য গত ২৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে তাদের কাছ থেকে কোন অর্থ নেয়া হবে না।
অবশ্য গত ২ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিং করে বলে, সেতু নির্মাণে প্রাক যোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে এখনও পর্যন্ত কোন দুর্নীতির প্রমাণ পায়নি দুদক। তবে পরামর্শক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করছে কানাডিয়ান পুলিশ। এ পরিস্থিতিতে সেতু নির্মাণের জন্য সরকার বিকল্প পথ খোঁজে। শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়া সরকার দেশের এই বৃহত্তম সেতু নির্মাণে এগিয়ে আসে।