মুন্সীগঞ্জ, রোববার, ১২-১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ই
  • প্রথম পৃষ্ঠা
  • শেষ পৃষ্ঠা
  • দেশের খবর
  • অন্যান্ন খবর
  • সাহিত্য কথা
  • বিনোদন
  • স্বাস্থ কথা

পদ্মা সেতু নিয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে চুক্তি ২১ ফেব্রুয়ারি

Picture
বি.চিত্র ডেস্ক : পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি সমঝোতা চুক্তি স্বার করবে বাংলাদেশ। সরকার টু সরকার পর্যায়ে চুক্তির ব্যাপারে প্রস্তুতি চলছে। প্রস্তাবিত পদ্মা সেতু নির্মাণে ৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন আরএম (২১৬ কোটি মার্কিন ডলার) বিনিয়োগ করবে মালয়েশিয়ান সরকার।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অবকাঠামো বিষয়ক দূত (ভারত ও দণি এশিয়া) দাতো সেরি এস সামি ভেল্লু শনিবার মালয়েশিয়ার নিউজ এজেন্সি বার্নামাকে দেয়া এক সাাতকারে এ কথা বলেছেন। সাাতকারে তিনি আরও বলেন, গত মাসে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করা হয়েছে। আমরা বলেছি, পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য আমরা প্রস্তুত। ওই পরিদর্শনের সময় সেতু নির্মাণের ব্যয় ও টেকনিক্যাল প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। আশা করছি চলতি মাসের মধ্যেই, বিশেষ করে ২১ ফেব্রুয়ারি সেতু নির্মাণে দুই দেশের সরকারের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বার হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাাত করে বিষয়টি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতো সেরি নাজিব রাজ্জাককে অবহিত করা হয়েছে। প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়, দুই দেশের সরকার টু সরকার পর্যায়ে বিশেষ প্রস্তাবিত পরিবহন (এসপিভি) পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা হবে। এই এসপিভি মালয়েশিয়ান প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিকভাবে অভিজ্ঞ বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যৌথ কনসোর্টিয়াম গঠন করবে। এই কনসোর্টিয়াম মালয়েশিয়া সরকারের কাছ থেকে কোন ধরনের আর্থিক সহায়তা না নিয়েই নিজেরা এটি বাস্তবায়ন করবে।
এই কনসোর্টিয়াম দুবাই থেকে অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে অর্থ সংগ্রহের ব্যাপারে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের কোন আপত্তি নেই বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন দাতো সেরি এস সামি ভেল্লু। ওই সময় পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে মালয়েশিয়া সরকারের প থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়। তবে সেতু নির্মাণের েেত্র সাতটি শর্ত জুড়ে দেয়া হয়। এর মধ্যে সেতু নির্মাণের পর ৫০ বছর রণাবেণের দায়িত্ব এবং ২৫ বছর পর্যন্ত যানবাহনের টোল আদায়ের দায়িত্ব, সেতুটি লাভজনক করতে প্রয়োজনীয় স্থানে রাজস্ব ভর্তুকি প্রদান, ট্যাক্সমুক্ত নির্মাণ সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি আমদানির প্রস্তাব দেয়া হয়। এছাড়া পরিবেশগত ও মানবাধিকারসহ কোন কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব না হয় সে ব্যাপারে সরকারের অর্থ প্রবাহের নিশ্চয়তা চাওয়া হয়।
মালয়েশিয়ার প থেকে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য পদ্মা সেতুর মধ্যে মাল্টিপারপাস রাস্তা ও রেলওয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। মালয়েশিয়া কন্সট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি এবং সরকারের সঙ্গে সংযুক্ত নির্মাণ কোম্পানি যৌথভাবে এই সেতু নির্মাণ করবে। এটি মনিটরিং করা হবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ কূটনৈতিক বিভাগ থেকে।
সেমি ভেল্লু সাাতকারে বলেন, বাংলাদেশের পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে মালয়েশিয়া বিশ্বকে জানাতে চায়। বিশ্বের যে কোন কিছু করার সমতা মালয়েশিয়ার রয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের কাজ শুরু করার বিষয়টি দুই দেশের সরকার ঠিক করবে।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি করে। এছাড়া এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ৬১ দশমিক ৫ কোটি ডলার, , জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন ৪০ কোটি ডলার এবং ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ১৪ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক সহায়তা বন্ধ করে দেয়। দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে অনুসন্ধান করতে দায়িত্ব দেয়া হয়। এদিকে বিশ্বব্যাংক নিজস্বভাবে এবং কানাডিয়ান পুলিশও পদ্মা সেতুর দুর্নীতির ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে। অবশ্য গত ২৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে তাদের কাছ থেকে কোন অর্থ নেয়া হবে না।
অবশ্য গত ২ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিং করে বলে, সেতু নির্মাণে প্রাক যোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে এখনও পর্যন্ত কোন দুর্নীতির প্রমাণ পায়নি দুদক। তবে পরামর্শক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করছে কানাডিয়ান পুলিশ। এ পরিস্থিতিতে সেতু নির্মাণের জন্য সরকার বিকল্প পথ খোঁজে। শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়া সরকার দেশের এই বৃহত্তম সেতু নির্মাণে এগিয়ে আসে।



মুন্সীগঞ্জ গারো : একটি ঐতিহ্যবাহী সম্প্রদায়

Picture

আলম শাইন : আমাদের দেশের আদিবাসীদের মধ্যে গারো সম্প্রদায় বেশ একটি ঐতিহ্যবাহী সম্প্রদায়। প্রায় সোয়া লাখ গারো বাস করেন এ দেশে। অন্যদিকে ভারতে বাস করেন প্রায় ১১ লাখ ৭৫ হাজার। দুই দেশ মিলিয়ে মোট ১৩ লাখ গারোর বাস মূলত পাহাড়ভিত্তিক অথবা জঙ্গলবেষ্টিত স্থানে তাঁরা বাসস্থান গড়েন। শুধু গারোরাই নন, এ দেশের যেকোনো আদিবাসীরাই লোকালয়ের দূর সীমায় বাস করছেন। অগোচরে বাসের প্রধান কারণ হচ্ছে তাঁরা প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে প্রাকৃতিক উপায়ে জীবন ধারণ করার সুযোগ তৈরি করে নেন। আমরা জানি, যেকোনো আদিবাসীরাই সংস্কৃতিপ্রিয় মানুষ। তাঁরা নিজস্ব ধারার সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর থাকেন সদাসর্বদাই। যত দূর জানা যায়, আদিবাসীদের সংস্কৃতির আয়োজন সাধারণত ফসল সংগ্রহভিত্তিক হয়ে থাকে। অন্যান্য আদিবাসীর মতো গারোদের সংস্কৃতির আয়োজন হয় মূলত জুম চাষভিত্তিক। বেশ বর্ণাঢ্য আয়োজন হতো একসময়। 
এখন জুম চাষ খুব একটা নেই আর গারোদের সেই বর্ণাঢ্য আয়োজনও তেমনটি নেই। তার ওপর সহস্র বছর আগের গারো সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল ক্রমান্বয়ে খাটো করে দিচ্ছেন খ্রিস্টান মিশনারিরা। আদিবাসীদের দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে সাহায্য-সহযোগিতার নামে ধোঁকা দিয়ে তাঁদের খ্রিস্টধর্মে আকৃষ্ট করার চেষ্টা অব্যাহত রাখছেন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, এ ধরনের অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন মূলত তাঁরা ১৮৬৩ সাল থেকেই। এ সময় ‘মি. ব্রনসন’ নামে এক শ্বেতাঙ্গ ব্যাপটিস্ট মিশনারি আসামের গুয়াহাটির অদূরে সুখেরশ্বরঘাট নামক স্থানে প্রথম দুই গারো যুবককে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করেন। তারপর থেকে ক্রমান্বয়ে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের গারো পাহাড়ে দুর্যোগ নেমে আসে। পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় খ্রিস্টধর্ম প্রচারের জন্য মিশনারিরা বিভিন্ন ধরনের পদপে ও কৌশলের আশ্রয় নিয়ে কাজ করছেন। তন্মধ্যে প্রধান কৌশলটি হচ্ছে গারোদের আদি উৎসবের হেরফের করে দেওয়া। যেমন- গারোদের একটি উৎসবের নাম ‘ওয়ানগালা’। 
  উৎসবটার মধ্য দিয়ে তাঁরা প্রকৃতির সঙ্গে একাত্মতার সুযোগ পেতেন। এরই মধ্য দিয়ে প্রকৃতির রোষানল থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করেন। প্রার্থনা করেন ভালো ফসল উৎপাদন, রোগব্যাধি, দুর্ভি, সন্তানের কল্যাণ, দাম্পত্য জীবনের কলহ থেকে নিষ্কৃতি পেতে। এ সবই করেন তাঁরা গীতনৃত্যের মাধ্যমে। সাধারণত তিনটি ধাপে ওয়ানগালা উৎসব পালন করেন। উৎসবগুলো যথাক্রমে- ১. রুগালা, ২. জল আননা, ৩. বিসিরি ওয়াত্তা। রুগালা অনুষ্ঠান পালন করা হয় কার্তিকের ১৫ তারিখের দিকে ধান কাটার পর। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথম ধান ঘরে তোলা হয়। দ্বিতীয়টি হচ্ছে জল আননা, এটির মাধ্যমে দেবতার মনোতুষ্টির জন্য ধূপ জ্বালানো হয়। তৃতীয় পর্ব বিসিরি ওয়াত্তা। এটি ওয়ানগালা অনুষ্ঠানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গারোদের ‘মিসি সালজং’ দেবতাকে বিদায় জানানো হয় এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। অথচ মিশনারিদের কবলে পড়ে এসব ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান এখন প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। তাঁরা দরিদ্র গারো সম্প্রদায়কে নামমাত্র সহায়তা দিয়ে ওয়ানগালা উৎসবটি খ্রিস্টধর্মের আঙ্গিকে পালনের প্রয়াস চালাচ্ছেন। বলা যায় বিষয়টি ভয়ংকর একটি ষড়যন্ত্র, যা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক হুমকি। বলে রাখা ভালো যেকোনো ধর্মের ওপর এ ধরনের খৰ উঁচিয়ে ধরা অবশ্যই নিন্দনীয় কাজ, অন্যায়ও বটে। এ অন্যায় থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে এবং ১২ জাতির সংমিশ্রণ না থাকলে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য একসময় বিলীন হয়ে যাবে। আশা করি বিষয়টি ভেবে দেখবেন সুধীজনরা।



ধলেশ্বরী নদীতে ৮০ মণ জাটকা জব্দ


বি.চিত্র প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জের কাটপট্টি এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে শনিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে ৮০ মণ জাটকা ইলিশ জব্দ করেছে কোস্টগার্ড সদস্যরা। জাটকাগুলো পরে ১ লাখ ২১ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। 
কোস্টাগার্ড কর্মকর্তা সফিউল ইসলাম  জানান, শনিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কাটপট্টি এলাকায় দণিাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী এমভি প্রিন্স অব বরিশাল, এমভি ফারহান, এমভি পূবালী, এমভি পানাম, এমভি দ্বিপরাজ-৪, এমভি স্বাধীন ও এমভি পিনাক লঞ্চে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ছোট বড় বিভিন্ন ড্রাম ও ঝুড়ি থেকে এ বিপুল পরিমাণ জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়।
তবে এ সময় জাটকাগুলোর কোনো দাবিদার পাওয়া যায়নি। এছাড়া জাটকা বহনকারী লঞ্চগুলো চিহ্নিত করা হলেও যাত্রীদের বিড়ম্বনা এড়াতে লঞ্চগুলো আটক করা হয়নি।পরে সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এমএ আজাদের উপস্থিতিতে মুক্তারপুর ঘাটে জাটকাগুলো ১ লাখ ২১ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়। পরে বিক্রির টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হবে বলেও তিনি জানান।এদিকে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ২৯০ মণ জাটকা ইলিশ ও ১ লাখ ১৭ হাজার মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত জাটকা ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।


পড়ার টেবিল থেকে উঠে না আসায় শিশু খুন


বি.চিত্র ডেস্ক : কথামতো পড়ার টেবিল থেকে উঠে না আসায় দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র আবু রাশেদ প্রতিবেশী কিশোরের হাতে খুন হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। 
আবু রাশেদ (৯) শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কাপাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। কাপাশিয়া গ্রামের দিনমজুর মনিক মিয়ার ছেলে। 
সোমবার সন্ধ্যায় সে ছুরিকাঘাতে আহত হয়। মঙ্গলবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। 
স্বজনদের বরাত দিয়ে নালিতাবাড়ি থানার ওসি মো. গোলাম হায়দার জানান, মনিক মিয়ার স্ত্রী ও অন্য সন্তানরা ঢাকায় থাকেন। একমাত্র শিশু রাশেদকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন মানিক মিয়া নিজে। 
সোমবার সন্ধ্যায় রাশেদ পড়াশোনা করার সময় প্রতিবেশী রমজান আলীর ছেলে রুবেল (১৫) তাকে খেলার জন্য ডাকে। রাশেদ পড়ার টেবিল থেকে না ওঠায় রুবেল ঘরে ঢুকে রাশেদের পেটে ৩/৪বার ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। ওই সময় ঘরে আর কেউ ছিল না। 
রাশেদের চিৎকারে তার বাবাসহ প্রতিবেশীরা এসে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 
ওসি আরো বলেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। নিহতের ভাই মো. সোহেল মিয়া এ ঘটনায় একটি মামলা করেছেন। 
রুবেলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। 

প্রত্মতত্ত্ব আমাদের অতীতের সাথে ভবিষ্যতকে পরিচয় করে দেয় -ভারতীয় হাই কমিশনার 

Picture

বি.চিত্র প্রতিবেদক : বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেছেন, পুরনো প্রতœতত্ত্ব আমাদের অতীতের সাথে ভবিষ্যতকে পরিচয় করে দেয়। প্রত্মতত্ত্ব ইতিহাস ও ঐতিহ্য একটি জাতির ইতিহাস বহন করে, যা শত শত বছরের ইতিহাসের ধারক। যথাযথভাবে খননের মাধ্যমে এসব ইতিহাস ও ঐতিহ্য খুঁজে বের করা জরুরী। এগুলো খুঁজে বের করা সম্ভব হলেও ইতিহাসের স্বাীগুলোকে ভবিষ্যতের কাছে নিয়ে আসতে হবে। তিনি শনিবার মুন্সীগঞ্জের রামপাল রঘুনাথপুরে প্রতœতাত্ত্বিক খনন কাজ প্ররিদর্শনকালে একথা বলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার পরে স্বপরিবারে বিআইডব্লিউটিএ’র তিস্তা জাহাজে করে লৌহজংয়ের মাওয়ায় পদ্মা নদীতে আনন্দ ভ্রমন করেন। নদী ভ্রমন শেষ লৌহজংয়ের অগ্রসর বিক্রমপুর পাঠাগার এবং শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল যদুনাথ রায় বাহাদুর জমিদার বাড়িতে ‘বিক্রমপুর যাদুঘর ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার পদ্মার নৈশরগিক দৃশ্য দেখে অভিভূত হয়ে বলেন, আমাজানসহ বিশ্বের অনেক নদ-নদী দেখার সুভাগ্য আমার হয়েছে। কিন্তু এ নদী নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করতাম না, পদ্মা এখানে এত বিশাল ও মনে রাখারমত সুন্দর। তিনি আরও বলেন, নদীর সাথে বাংলাদের মানুষের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সেটা নদীর টানে হউক কিংবা গান গাওয়ার তালেই হউক না কেন। বাংলাদেশ আসলেই নদী মার্তৃক বাংলাদেশ। 
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সহধর্মীনি রানু ভট্টাচার্য, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুল আমিন, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আজিজুল আলম, প্রতœ্তাত্ত্বিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শফিকুল ইসলাম, অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি নূহ উল আলম লেনিন, লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক এমদাদুল হক প্রমূখ। দিনব্যাপী কর্মসূচী শেষে বিকালে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন।



মুন্সীগঞ্জে ক্রিকেট খেলা নিয়ে সংঘষে আহত ১০


বি.চিত্র প্রতিবেদক :  মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মহাকালি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ক্রিকেট খেলা নিয়ে মঙ্গলবার দু’পরে সংঘর্ষে অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত মো. রাজিব (১৮) ও ইকবাল হোসেনকে (২৪) মূমূর্ষু অবস্থায় মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হযেছে। অন্য আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


সীমান্তে বিএসএফ’র হত্যা ও নির্যাতন বন্ধের দাবিতে মুন্সীগঞ্জে মানববন্ধন

Picture

বি.চিত্র প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় বি.এস.এফ’র নির্বিচার হত্যা, গুলি বর্ষন ও নির্মম হত্যা বন্ধের দাবিতে  মুন্সীগঞ্জে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
মুন্সীগঞ্জ প্রেস কাব চত্বরে এই কর্মসূচীর আয়োজন করে বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল (বা.মা.কা), মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখা ও দেশটিভির দর্শক ফোরাম দেশ আমার, মুন্সীগঞ্জ। এ কর্মসূচীতে বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় ভারতের বি.এস.এফ’র একের পর এক নির্বিচার হত্যা ও মাবাধিকার লঙ্গন করে মানুষ নির্যাতনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। প্রতিবাদ সভায় মূখ্য আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট মুজিবুর রহমান। অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন দেশ আমার, মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি হামিদা খাতুন, নাট্য ঐক্য মঞ্চের সভাপতি মোহাম্মদ নাসিম, মানবাধিকার কাউন্সিল-মুন্সীগঞ্জ সদর শাখার সভাপতি এডভোকেট জানে আলম প্রিন্স, শহর শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ঢালী সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুজন হায়দার জনি, এটিএন নিউজের মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি ভবতোষ চৌধুরী নুপুর। 



প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা  


বি.চিত্র প্রতিবেদক :
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোরী মামলা করেছে প্রেমিকের বিরুদ্ধে। 
শুক্রবার রাতে ফতেহপুর ইউনিয়নের মারুয়াদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার ওই কিশোরী (১৫) বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় মামলাটি দায়ের করে। 
মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। 
কিশোরীর বরাত দিয়ে আড়াইহাজার থানার ওসি (তদন্ত) গিয়াস উদ্দিন বলেন, সদর উপজেলার আবদুল্লাহকান্দি গ্রামের এই কিশোরীর সঙ্গে ফতেহপুর ইউনিয়নের শামীমের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। 
শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নরসিংদী থেকে আড়াইহাজার নিয়ে আসে শামীম। পরে মারুয়াদি গ্রামের তাহের গার্ডেনে তাকে ধর্ষণ করে ফেলে চলে যায়। শামীমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান এসআই। 

Powered by Create your own unique website with customizable templates.